আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যতক্ষণ আক্রান্ত না হই সবার পাশে থাকবো : খোরশেদ

করোনা ভাইরাস ইস্যুতে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, তায়াক্কালতু আল্লাল্লা।আমি নিজে যতক্ষণ আক্রান্ত না হই,আপনাদের সেবায় নিজেকে উপস্থিত রাখবো ইনশাআল্লাহ।আল্লাহ সব সময় মানুষকে সেবা করার সুযোগ দেয় না।আল্লাহ না চাইলে কখনো নিজেকে অপরের কল্যানে সম্পৃক্ত করা যায় না। যেহেতু সুযোগ এসেছে আমি থাকবো আপনাদের পাশে। আল্লাহ বলেছেন সকল জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। আমিও এর বাইরে নই।একজন মুসলিম হিসাবে আমার জন্ম,মৃত্যু,কর্ম ও ভবিষ্যত সব আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত বলেই বিস্বাস করি।

অতএব আল্লাহর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।যদি জনগণের পাশে থেকে করোনায় আমার মৃত্যু হয় তা হবে আল্লাহর ইচ্ছায় ও আমার জন্য চরম প্রাপ্তির।

সাবধানতা অবলম্বন করে মানুষের পাশে দাড়ান।মুনাফাখোরী বাদ দিন।মনে রাখবেন টাকা নিয়ে কবরে যাওয়া যাবে না।আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আপনি গুহায় লুকিয়েও রক্ষা পাবেন না।একমাত্র তাঁর করুনাই আমাকে আপনাকে, আমাদের সবাইকে বাঁচাতে পারে।

চীনের নার্সরা যদি পারে নিজেদের বাঁচিয়ে হাজার মানুষের জীবন বাচাতে, তাহলে আমরা কেন পারবো না??পারতেই হবে আমাদের।আল্লাহর রহমত ও আমাদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টাই পারে আমাদের মহামারী থেকে রক্ষা করতে।

চীনের করোনা জয়ী নার্সদের দেখুন,মনে সাহস যোগান। দেখুন,নির্ঘুম চোখ টকটকে লাল হয়ে আছে, ঘাম বেরুচ্ছে গা দিয়ে, মুখে মাস্ক এঁটে বসার দাগ স্পষ্ট, শরীরজুড়ে সীমাহীন ক্লান্তির ছাপ- গত কয়েকটা মাস ধরে চীনের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার আর নার্সদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত দৃশ্য ছিল এটাই। স্বাভাবিক জীবন যে কি জিনিস- সেটাই ভুলে গিয়েছিলেন মানুষগুলো, নিজেদের জীবন বাজী রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন করোনাভাইরাসের মোকাবেলা করতে। পুরো শহর যখন অবরুদ্ধ, সবাই যখন বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে, তারা তখন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়ছেন, অদৃশ্য এক শত্রুর বিরুদ্ধে অসম এক লড়াইতে লিপ্ত হয়েছেন।

এই মানুষগুলোর অবদানকে সম্মান জানানোর কোন উপায় নেই আসলে, তবুও চীনের মানুষ চেষ্টা করছেন তাদের খানিকটা প্রতিদান ফিরিয়ে দেয়ার। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অক্লান্ত যোদ্ধাদের ছবিগুলো ভাইরাল হচ্ছে, সবাই দল বেঁধে ভালোবাসা প্রকাশ করছেন তাদের প্রতি- যাদের অবদানে বেঁচে গেছে হাজার হাজার প্রাণ।
আল্লাহর রহমত থাকলে আমরাও পারবো।জিতে গেলে আমাদের নিয়ে হবে বীরোচিত ইতিহাস। তাই আল্লাহর রহমত পেতে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও তওবা করা খুব জরুরী।